অল্পেই ক্লান্তি, আচমকাই বাড়ছে ওজন। অকালে ঝরছে চুল, শুকনো খসখসে ত্বক। সেই সঙ্গেই বুক ধড়ফড়, অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে হৃৎস্পন্দন। ছোটখাটো শারীরিক সমস্যাগুলি এড়িয়ে যাওয়া হয় বেশির ভাগ সময়েই। অথচ এই প্রতিটি উপসর্গের জন্য দায়ী হতে পারে থাইরয়েড, যার চিকিৎসা সঠিক সময়ে না হলে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যেতে পারে। থাইরয়েড যখন বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন তা প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনাও বাড়াতে পারে। তেমনই একটি পর্যায় হল ‘থাইরয়েট স্টর্ম’। চল্লিশোর্ধ্ব মহিলারাই বেশি ভোগেন এতে। রোগটিকে বিরলই বলা চলে। কম জনেরই হয়। তবে থাইরয়েড স্টর্ম এক বার হলে শরীরের পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে থাকে।
থাইরয়েড স্টর্ম কী?
থাইরয়েডের দু’টি ভাগ আছে— হাইপোথাইরয়েডিজ়ম ও হাইপারথাইরয়েডিজ়ম। এই হাইপোথাইরয়েডিজ়মেরই বাড়াবাড়ি হলে তা থাইরয়েড স্টর্মের রূপ নেয়। অর্থাৎ থাইরয়েড হরমোনের অত্যধিক হারে ক্ষরণ শুরু হয়, যা শরীরের নানা অঙ্গের ক্ষতি করতে শুরু করে।
গলায় শ্বাসনালির সামনের দিকে থাকে থাইরয়েড গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন শরীরের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন বিপাকক্রিয়া, বুদ্ধির বিকাশ, শরীরের বৃদ্ধি ও গঠন, মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্র, গর্ভধারণ ইত্যাদি। থাইরয়েড হরমোন দু’প্রকার, টি-থ্রি ও টি-ফোর, যা নির্দিষ্ট মাত্রায় রক্তে থাকে। যখন এই দুই হরমোনের ক্ষরণ যখন অস্বাভাবিক বেড়ে যায় বা কমে যায়, তখনই থাইরয়েড হয়। হাইপোথাইরয়েডিজ়মের ক্ষেত্রে হরমোনের মাত্রা কমে যায়। তবে যদি এই থাইরয়েডের চিকিৎসা সঠিক সময়ে না হয়, তখন হরমোনের ভারসাম্য এতটাই বিগড়ে যায় যে, রক্তে টি-থ্রি ও টি-ফোর সহ আরও নানা হরমোনের ক্ষরণও বাড়তে শুরু করে। একটা পর্যায়ে গিয়ে থাইরয়েড হরমোনের বিস্ফোরণ ঘটে শরীরে, তখন নানা উপসর্গ দেখা দিতে থাকে।
ধুম জ্বর আসবে। শরীরের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রির উপরে উঠে যাবে।
হৃৎস্পন্দনের হার মারাত্মক ভাবে বেড়ে যাবে। রোগীর বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট শুরু হবে।
পেটের গোলমাল দেখা দেবে। অম্বল, বুকজ্বালা, বমি ভাব, পেট ব্যথা, এমনকি ডায়েরিয়ার উপসর্গও দেখা দেবে।
মানসিক নানা সমস্যাও দেখা দিতে থাকবে। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বেড়ে যাবে। ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়বে। অবসাদ দেখা দেবে।
ওজন বৃদ্ধি, বেশি ঠান্ডা লাগা, পেশি এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, চুল পড়ে যাওয়া, পা ও মুখ ফুলে যাওয়া, গলার স্বর পাল্টে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেবে।
কিছু ক্ষেত্রে হার্ট ফেলিয়োর, জন্ডিসের মতো রোগের উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা
এই সব রোগীকে প্রতি দিন থাইরয়েড হরমোনের ওষুধ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে দেওয়া হয়। টিএসএইচ ও টি-ফোর-এর মাত্রা রক্তে কেমন আছে সেটির উপর ভিত্তি করে থাইরয়েড হরমোনের এর ডোজ নির্ধারণ করা হয়। এই ওষুধ ট্যাবলেট আকারে বাজারে বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়। তা ছাড়া রোগীর যেহেতু খুব শ্বাসকষ্ট হয়, তাই অক্সিজেন থেরাপি, আইভি ফ্লুইড থেরাপিও করা হয়। চিকিৎসা শুরু করার ছ’সপ্তাহ থেকে ছ’মাস অন্তর পুনরায় টি-ফোর এবং টিএসএইচের মাত্রা দেখা হয় এবং এদের পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য থাইরয়েড হরমোনের ডোজ বাড়ানো বা কমানো হয়।
থাইরয়েড স্টর্ম কী?
থাইরয়েডের দু’টি ভাগ আছে— হাইপোথাইরয়েডিজ়ম ও হাইপারথাইরয়েডিজ়ম। এই হাইপোথাইরয়েডিজ়মেরই বাড়াবাড়ি হলে তা থাইরয়েড স্টর্মের রূপ নেয়। অর্থাৎ থাইরয়েড হরমোনের অত্যধিক হারে ক্ষরণ শুরু হয়, যা শরীরের নানা অঙ্গের ক্ষতি করতে শুরু করে।
গলায় শ্বাসনালির সামনের দিকে থাকে থাইরয়েড গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন শরীরের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন বিপাকক্রিয়া, বুদ্ধির বিকাশ, শরীরের বৃদ্ধি ও গঠন, মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্র, গর্ভধারণ ইত্যাদি। থাইরয়েড হরমোন দু’প্রকার, টি-থ্রি ও টি-ফোর, যা নির্দিষ্ট মাত্রায় রক্তে থাকে। যখন এই দুই হরমোনের ক্ষরণ যখন অস্বাভাবিক বেড়ে যায় বা কমে যায়, তখনই থাইরয়েড হয়। হাইপোথাইরয়েডিজ়মের ক্ষেত্রে হরমোনের মাত্রা কমে যায়। তবে যদি এই থাইরয়েডের চিকিৎসা সঠিক সময়ে না হয়, তখন হরমোনের ভারসাম্য এতটাই বিগড়ে যায় যে, রক্তে টি-থ্রি ও টি-ফোর সহ আরও নানা হরমোনের ক্ষরণও বাড়তে শুরু করে। একটা পর্যায়ে গিয়ে থাইরয়েড হরমোনের বিস্ফোরণ ঘটে শরীরে, তখন নানা উপসর্গ দেখা দিতে থাকে।
ধুম জ্বর আসবে। শরীরের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রির উপরে উঠে যাবে।
হৃৎস্পন্দনের হার মারাত্মক ভাবে বেড়ে যাবে। রোগীর বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট শুরু হবে।
পেটের গোলমাল দেখা দেবে। অম্বল, বুকজ্বালা, বমি ভাব, পেট ব্যথা, এমনকি ডায়েরিয়ার উপসর্গও দেখা দেবে।
মানসিক নানা সমস্যাও দেখা দিতে থাকবে। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বেড়ে যাবে। ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়বে। অবসাদ দেখা দেবে।
ওজন বৃদ্ধি, বেশি ঠান্ডা লাগা, পেশি এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, চুল পড়ে যাওয়া, পা ও মুখ ফুলে যাওয়া, গলার স্বর পাল্টে যাওয়া, ত্বক শুষ্ক হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেবে।
কিছু ক্ষেত্রে হার্ট ফেলিয়োর, জন্ডিসের মতো রোগের উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা
এই সব রোগীকে প্রতি দিন থাইরয়েড হরমোনের ওষুধ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে দেওয়া হয়। টিএসএইচ ও টি-ফোর-এর মাত্রা রক্তে কেমন আছে সেটির উপর ভিত্তি করে থাইরয়েড হরমোনের এর ডোজ নির্ধারণ করা হয়। এই ওষুধ ট্যাবলেট আকারে বাজারে বিভিন্ন নামে পাওয়া যায়। তা ছাড়া রোগীর যেহেতু খুব শ্বাসকষ্ট হয়, তাই অক্সিজেন থেরাপি, আইভি ফ্লুইড থেরাপিও করা হয়। চিকিৎসা শুরু করার ছ’সপ্তাহ থেকে ছ’মাস অন্তর পুনরায় টি-ফোর এবং টিএসএইচের মাত্রা দেখা হয় এবং এদের পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য থাইরয়েড হরমোনের ডোজ বাড়ানো বা কমানো হয়।